জাতীয়

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর, কটাক্ষ অধীরের

এনএফবি ব্যুরো, নিউজ ডেস্কঃ

একদিকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে উৎখাতের সুর চড়াচ্ছেন মমতা। অন্যদিকে কেন্দ্র রাজ্য একযোগে বার্তা দিতে শিল্প সম্মেলনের আসরে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে দাবী জানালেন রাজ্যের বকেয়া আর্থিক দাবী দাওয়া-সহ একাধিক বিষয়ের। মুখ্যমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠেকে তাঁদের মধ্যে রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, পাট শিল্পের উন্নতি কোভিড টিকা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রীকে আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলেই দাবী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের প্রশ্নে কেন্দ্র-রাজ্য একযোগে কাজের বার্তা শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মমতা।
বৈঠক শেষে এদিন বিকেলে দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,“ কেন্দ্র-রাজ্য দুটি দল চালায়। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শগত ফারাক থাকবেই। কিন্তু এর প্রভাব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপর পড়া উচিৎ নয়, এটা কাম্যও নয়। রাজ্যগুলির উন্নয়ন হলেই কেন্দ্রের উন্নতি সম্ভব। তাই ২০-২১ এপ্রিল কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর উদ্বোধনের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

এই আমন্ত্রণ ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের খরা কাটাতে এবং বেশি পরিমানে বিদেশি লগ্নির আশায় এর আগে বিভেদ বিতর্ক ভুলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদমর্যদাকে সম্মান জানিয়ে আসন্ন শিল্প সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশে গিয়ে বাংলার শিল্পের হয়ে সওয়ালের অনুরোধও করা হয়েছে। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি বাণিজ্য সম্মেলনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। যা ঘিরে নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এই আমন্ত্রণকে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এদিন অধীর বলেন, “ উনি বলেছিলেন বিএসএফ নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন, কিন্তু জানিয়ে এলেন আমন্ত্রণ। কেন্দ্রের নীতি দেখে যখন শিল্পপতিরা দেশ থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছেন তখনই বাংলার শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বোঝাই যাচ্ছে উনি মোদীজিকে জেতানোর জন্য কতটা মরিয়া।“