অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
আগামী দুই একদিনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে পারেন ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। জানা গিয়েছে, চুক্তি ও দল গঠন নিয়ে আলোচনা হবে সেই বৈঠকে।
সূত্রের খবর, গত সোমবার (২০ জুন) ইমামির তরফে চুক্তির একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। তবে তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। পাশাপাশি দল গঠনের কাজ স্থগিত থাকায় মঙ্গলবার (২১ জুন) ইমামিকে চিঠি পাঠানো হয় ক্লাবের তরফে। সেই চিঠির উত্তর এসে গিয়েছে । আর তাতেই ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকে বসার কথা জানানো হয়েছে।
ইমামি কর্তারা জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে তাঁরা অতীতেও যুক্ত ছিলেন। কলকাতার ফুটবল আবেগ সম্পর্কে তাঁদের যথেষ্ট ধারনা রয়েছে। লাল-হলুদ সদস্য, সমর্থকদের ফুটবল প্রেমের কথাও তাঁদের অজানা নয়। ফলে সেই সব কিছুকে গুরুত্ব দিয়েই আইএসএল-এর জন্য শক্তিশালী দল তৈরি করা হবে। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিও দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ফুটবলের স্বার্থেই ইমামি গোষ্ঠী আবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেই স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করবেন তাঁরা।
বিগত কয়েক মরশুমে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অভিজ্ঞতা মোটেও ভাল না। ক্লাব কর্তাদের কথা অনুযায়ী তাঁদের অভিজ্ঞতাও হয়তো খুব একটা ভাল ছিল না। তবু নতুন কোম্পানি মানে নতুন আশা। এই আশা-নিরাশা নিয়ে আপাতত দিন গুজরান। এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে হাতে গোনা কয়েক দিনের মধ্যেই সই পর্ব মিটতে পারে। নতুন করে ফুটবলাদের সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ইনভেস্টর সমস্যায় ভুগছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় ত্রাতা হয়ে ওঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন।তবে কিংফিশারের আগে ইস্টবেঙ্গলের স্পন্সর ছিল ইমামি । কলকাতার এই সংস্থা সমর্থকদের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দেবেন বলেই বিশ্বাস কর্তাদের। ইস্টবেঙ্গল ও ইমামি পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা এখানে চা খেতে এসেছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেটা মিটে গেল। দু’পক্ষই রাজি হয়েছেন। কী চুক্তি হবে সেটা ওরা পরে নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করে নেবেন।”